ad

স্মার্টফোন কিভাবে বাঁছাই করবেন?

Views
আচ্ছা আজকে আমি  আমাদের দেশের স্মার্টফোন বাজার নিয়ে কিছু লিখতে চাচ্ছি। অনেকদিন ধরে অনেককিছু এক্সপেরিয়েন্স করে আসলে লেখাটা লিখতে বসলাম। যারা আমার মত টেক ফ্রিক লেখাটা তাদের জন্য যাদের এইদিকে ইন্টারেস্ট নাই তারা দূরে থাকুন। সো লেট'স চেক ইট আউট।
যারা বেছে বেছে স্মার্টফোন কিনতে চান তাদের জন্য লেখাটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বেশিরভাগ  ই স্মার্টফোন কেনার আগে রিভিউ দেখি বা কনফিগারেশন দেখি। কিন্তু নেট এ যে রিভিউগুলা পাই আসলেই কি সেগুলো ঐ সেট বা কম্পানির দুর্বলতাগুলো বলে? আমার মনে হয়না। ধরুন আপনি বাজেট এর মধ্যে একটা ভালো ক্যামেরা আছে এমন সেট খুঁজছেন। এবং ইউটিউব ঘেটে রিভিউ ও ভালো পেলেন। পিক্সেল ডেনসিটি কম্পেয়ার করে দেখলেন সেইম। কিন্তু আনাড়ি হওয়াতে আপনি বুঝতে পারলেননা যে আরেকটু বেশি বাজেট ব্র্যান্ড এর সেট এর ক্যামেরার রেজ্যুলেশন এর থেকে ভাল আর সেটা কেনার পর বুঝতে পারলেন। এমন আরো অনেক কনফিউজিং জিনিস রয়েছে যা আসলে সেট ইউজ করার আগে বলা বা বুঝা মুশকিল। তো কি করবেন?
সেট কিনার আগে প্রথমেই ব্র্যান্ড চয়েজ করবেন তারপর কনফিগারেশন চয়েজ করে এরপর ঐ কনফিগ আর আপনার বাজেটে কোথায় মিলে তা দেখবেন। নেট এ তো রিভিউ দেখবেন ই সাথে আরেকটা কাজ করবেন সেটা হলো মার্কেট ঘুরে ওই সেট গুলোর ক্যামেরা, হোম ডিস্প্লে,এপ্স পার্ফমেন্স কেমন(বেশি ভারী এপ্স হলে হ্যাং করছে কিনা বা সিপিইউ গরম হচ্ছে কিনা), ডিস্প্লে তে আপনার আই সাইট(eye sight) এ ইফেক্ট পড়ছে কিনা(ব্র্যান্ডেড না হলে কিছু স্মার্টফোন এর ডিস্প্লে খারাপ থাকে যেটা আপনার শারিরীক সমস্যার কারন হতে পারে), এক্সেসিবিলিটি অপশন, এডাপটিভ ব্রাইটনেস অপশন কেমন, এবং অবশ্যই এন্ড্রয়েড ভার্শন। সবসময় চেষ্টা করবেন এন্ড্রয়েড এর লেটেস্ট ভার্ষন গুলো কিনতে। কারন আগের ভার্শনগুলোতে কিছু বাগ(bug) থেকেই যায় যেগুলো পরের ভার্ষনে ফিক্স করা হয়।
আর মোস্ট ইম্পর্ট্যান্টলি ব্যাটারি লাইফ। আপনি গেইমস খেললে বা ভারী এপস চালালে ব্যাটারি কেমন ব্যাকাপ দেইয় সেটা আর যারা এই সেটগুলো ইউজ করছে তারা কেমন ব্যাকাপ পাচ্ছেন অবশ্যই চেক করবেন।
এখন আসি মোবাইল কোম্পানির মার্কেটিং এর ব্যাপারে। টিভিতে রঙ্গিন রঙ্গিন এড দেখে কখনই বিভ্রান্ত হবেননা সাবধান!! নিত্যনতুন ব্র্যান্ড প্রতিনিয়তই বাজারে আসছে। তবে মার্কেট ক্যাচ করতে পারছে কজন? আর পারলেও দুদিন পর লাপাত্তা। কম দামে কোয়ালিটি প্রোডাক্ট সবাই দিতে পারেনা। এসব কম্পানির উদ্ভব ই হয় লো লিমিট প্রফিট এর জন্য। কিছুদিন তুমুল বিজনেস করবে তার পর বাজার থেকে হাওয়া। এমন অসংখ্য ব্র্যান্ড আমরা সবাই কমবেশি জানি। তাই সাবধান! নন ব্র্যান্ডেড জিনিস কেনার আগে অবশ্যই প্র্যাক্টিকাল ইউজার মার্কেট যাচাই করবেন অর্থাৎ ওগুলোর লঙ্গিটিভিটি কেমন।
আশা  করি টিপস গুলো কাজে লাগবে। 

No comments

Your opinion here...

Theme images by fpm. Powered by Blogger.